ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা? |


মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ইরান ক্ষতিগ্রস্ততার মাত্রা কমিয়ে দেখাচ্ছে, যদিও এই তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।


ওয়াশিংটন পোস্ট রবিবার চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির যে ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে ইরান অভ্যন্তরীণভাবে তার পরিমাণ কমিয়ে দেখাচ্ছে। এই সূত্রগুলো মার্কিন সরকারের গোপন গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত।


রয়টার্সকে একজন বেনামী সূত্র এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ইরানি কর্মকর্তারা সত্যি বলছেন কিনা তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। 


তবে, ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ক্ষতির মাত্রা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। এর আগে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একটি ফাঁস হওয়া প্রাথমিক মূল্যায়নে সতর্ক করা হয়েছিল যে, হামলাগুলো ইরানকে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে দিতে পারে।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদিও দাবি করেছেন যে, হামলাগুলো ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে “সম্পূর্ণ এবং পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন” করে দিয়েছে, তবে মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে গত সপ্তাহান্তে মার্কিন সামরিক হামলার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির একটি সম্পূর্ণ মূল্যায়ন করতে সময় লাগবে।


হোয়াইট হাউস ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিটকে উদ্ধৃত করে পোস্ট জানিয়েছে, “নামহীন ইরানি কর্মকর্তাদের কয়েকশ ফুট ধ্বংসস্তূপের নিচে কী ঘটেছে তা জানার ধারণাটি নিছকই বাজে কথা। তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি শেষ।”


রবিবার ফক্স নিউজে সম্প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আবারও আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন যে, হামলাগুলো ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করে দিয়েছে। “এটি এমনভাবে নিশ্চিহ্ন হয়েছে যা এর আগে কেউ দেখেনি। এবং এর অর্থ হলো, অন্তত কিছু সময়ের জন্য তাদের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার অবসান ঘটেছে,” তিনি “সান্ডে মর্নিং ফিউচারস উইথ মারিয়া বার্টিরোমো” অনুষ্ঠানে বলেন।


ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে মার্কিন হামলার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি কতটুকু, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য আসায় বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। 


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



 





Source from Bangladesh Pratidin