ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে সতর্ক করলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট |

[ad_1]

ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে সতর্ক করলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা।


বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ সভায় তিনি দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারণ করলেন, “সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা ওই অঞ্চলে ‘নতুন সংকট’ সৃষ্টি করতে পারে।”


আল-শারা গত বছর শেষের দিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য প্রতিরোধ বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রায় ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি।


ক্ষমতায় আসার পর থেকে অর্জিত অগ্রগতি এবং দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর দেশকে যে চ্যালেঞ্জগুলো এখনও মোকাবিলা করতে হচ্ছে তা তুলে ধরেন আল-শারা। প্রধান চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হলো সিরিয়ার ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা ও সামরিক কার্যক্রম। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত এবং ইসরায়েলের নীতি সিরিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়ক অবস্থার বিপরীত।


তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের হামলা আমাদের অঞ্চলে ‘নতুন সংকট ও সংগ্রামের’ হুমকি সৃষ্টি করছে। 


তবে আগ্রাসনের পরও সিরিয়া সংলাপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই এই হামলার মুখে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।


আল-শারা বলেন, সিরিয়া ১৯৭৪ সালের চুক্তিতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ইসরায়েলের দখলকৃত গোলান হাইটসে জাতিসংঘের নজরদারি সীমানা জোনের মাধ্যমে সিরীয় ও ইসরায়েলি বাহিনীকে আলাদা করে। ডিসেম্বর মাসে আল-শারার নেতৃত্বে বিরোধী যোদ্ধারা দামাস্কাস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সময় ইসরায়েল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওই বাফার জোন দখল করে  এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন যে, বিচ্ছিন্ন চুক্তি ‘শেষ’। তারপর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ার মধ্যে শত শত বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়েছে। জুনে সিরিয়ার সুয়াদা প্রদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। 


ইসরায়েল জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের দ্রুজ সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করছে এবং এ সপ্তাহে সিরিয়ার জন্য বিশেষ দূত টম ব্যারাক বলেছেন যে, তারা নতুন চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে। 


মঙ্গলবার নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে আল-শারা বলেন, তিনি আশা করছেন চুক্তি কার্যকর হবে, তবে তিনি যোগ করেন, “ভয় পায় সিরিয়া, ইসরায়েল নয়।” সূত্র: আরব নিউজ


বিডি প্রতিদিন/একেএ

 



[ad_2]

Source from Bangladesh Pratidin