ইসরায়েলের আয়রন ডোম নকল করে সুদর্শন চক্র বানাচ্ছে ভারত! |


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ঘোষণা করেছেন দেশটির নতুন সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা “মিশন সুদর্শন চক্র”। এটি হবে একটি বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কাঠামো।,যেখানে উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা, সাইবার সুরক্ষা এবং শারীরিক প্রতিরক্ষাকে একত্রিত করে দেশের নাগরিক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে শত্রু হামলা ও সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হবে।


মোদীর কথায়, ২০৩৫ সালের মধ্যে এই ঢালকে আরও প্রসারিত, শক্তিশালী ও আধুনিক করতে চাই। শ্রীকৃষ্ণের অনুপ্রেরণায় আমরা সুদর্শন চক্রের পথ বেছে নিয়েছি… এই পুরো ব্যবস্থাটি ভারতেই গবেষণা, উন্নয়ন ও উৎপাদন করা হবে।


এ বছরের মে মাসে অপারেশন সিঁদুর চলাকালে পাকিস্তান প্রায় ১০০ ঘণ্টা ধরে ভারতের সামরিক ঘাঁটি, যুদ্ধবিমান ও শহরগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার চালায়। ভারতের দাবি, তাদের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম সেই আক্রমণ প্রতিহত করেছে। যদিও পাকিস্তানের দাবি ভিন্ন।


মিশন সুদর্শন চক্র ইসরায়েলের আয়রন ডোম এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত গোল্ডেন ডোমের ধাঁচে তৈরি করতে চায় দিল্লি। তবে এটি শুধু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা নয়, সঠিক পাল্টা আঘাত ও সাইবার যুদ্ধ প্রতিরক্ষা ক্ষমতাও পাবে। ইসরায়েলের আয়রন ডোম ২০১১ সাল থেকে হাজার হাজার রকেট আক্রমণ প্রতিহত করেছে, যার সাফল্যের হার প্রায় ৯০ শতাংশ। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের আয়রন ডোমও অতোটা কার্যকর নয়। ইরানি মিসাইল হামলার সময় এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রীতিমতো নাকানিচুবানি খেয়েছে।


ভারতীয় সূত্রমতে, মিশন সুদর্শন চক্রে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী ও বেসরকারি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করবে। এর মূল লক্ষ্য হবে বিদ্যুৎ গ্রিড, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, খাদ্য ও পানি সরবরাহ, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অটুট সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা।


সূত্র: এনডিটিভি



বিডি প্রতিদিন/নাজমুল





Source from Bangladesh Pratidin