আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে বয়ে আসা শক্তিশালী হ্যারিকেন এরিন ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে।
গতকাল এটি একটি বিরল ক্যাটাগরি ফাইভ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও বর্তমানে এর শক্তি কিছুটা কমে এটি ক্যাটাগরি থ্রি হ্যারিকেনে পরিণত হয়েছে। এটি এখন বাহামিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আমেরিকার ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার (এনএইসি) জানিয়েছে, হ্যারিকেনটির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১২৫ মাইল (২০১ কিলোমিটার)। হ্যারিকেনটির প্রভাবে ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ও পুয়ের্তো রিকোতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০২৫ সালের আটলান্টিক মৌসুমে এটিই প্রথম হ্যারিকেন। এর কেন্দ্রের ২৫ মাইল পর্যন্ত এলাকায় হ্যারিকেন-এর তীব্রতার বাতাস বইছে এবং এরিন ক্রমশ আকারে বড় হচ্ছে।
শনিবার হ্যারিকেনটি দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে এবং এর তীব্রতা ‘বিস্ফোরকভাবে’ বৃদ্ধি পায়। তবে, এরপরই এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং উত্তর দিকে বাঁক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
বর্তমানে, হ্যারিকেন এরিন পুয়ের্তো রিকো এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর প্রভাবে ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ এবং টার্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৬ ইঞ্চি (১৫ সেমি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এছাড়াও, টার্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বাতাস এবং বিপজ্জনক সামুদ্রিক স্রোত বা ‘রিপ কারেন্ট’-এর জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এই ধরনের স্রোতে সমুদ্রের গভীরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এনএইচসি পরিচালক মাইক ব্রেনান জানিয়েছেন, হ্যারিকেন এরিনের কারণে প্রায় পুরো মার্কিন পূর্ব উপকূলজুড়ে বিপজ্জনক ঢেউ এবং রিপ কারেন্ট তৈরি হবে। বিশেষ করে ফ্লোরিডা এবং মিড-আটলান্টিক রাজ্যগুলোতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড সেন্ট থমাস, সেন্ট জন এবং পুয়ের্তো রিকোর সান জুয়ানসহ ছয়টি বন্দরে নৌ চলাচল সীমিত করেছে। মার্কিন সরকারের প্রাথমিক আবহাওয়া সংস্থা এই বছর একটি ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি’ শক্তিশালী আটলান্টিক হ্যারিকেন মৌসুমের পূর্বাভাস দিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল