গাজায় বিমান থেকে খাবার ফেলল ছয় দেশ |


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমানের মাধ্যমে খাবার ফেলেছে ছয়টি দেশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) ১২৬টি প্যাকেজ ফেলা হয়। এগুলো পাঠিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, মিসর, জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


গাজার মানুষের জন্য দিনে যে পরিমাণ খাবার প্রয়োজন সেগুলোর তুলনায় ১২৬টি প্যাকেজ খুবই নগন্য। দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, শুক্রবার ছয়টি দেশকে তারা গাজায় খাদ্য সহায়তা ফেলতে দেয়।


ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এই যৌথ উদ্যোগের জন্য জর্ডান, আমিরাত এবং জার্মানিকে ধন্যবাদ জানান। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “শুধু বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা যথেষ্ট নয়। গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি মোকাবেলায় ইসরায়েলকে অবশ্যই পূর্ণ মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার দিতে হবে।”


গত সপ্তাহ থেকেই ইসরায়েল গাজায় আকাশপথে ত্রাণ ফেলার অনুমতি দেয়। তবে বিভিন্ন মানবাধিকার ও ত্রাণ সংস্থা এই পদ্ধতির সমালোচনা করছে—তাদের মতে, এটি ব্যয়বহুল, অকার্যকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।


জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্য সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)–এর প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেন, গাজায় একটি ট্রাকে করে গাজায় সহায়তা পাঠাতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, বিমান দিয়ে সেটি করলে ১০০ গুণের বেশি অর্থ লাগে। এছাড়া বিমানের চেয়ে ট্রাক দ্বিগুণ ত্রাণ পরিবহণ করতে পারে।


তিনি বিমান থেকে খাদ্য ফেলাকে ‘অপর্যাপ্ত’ ও ‘অকার্যকর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা বলেছেন, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার ক্ষেত্রে সবার মধ্যে যে রাজনৈতিক ইচ্ছা আছে সেটি সড়কপথে প্রবেশদ্বারগুলো খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রেও থাকা উচিত।


লাজ্জারিনি জানিয়েছেন, গাজা সীমান্তে ত্রাণ নিয়ে ৬ হাজার ট্রাক অপেক্ষা করছে। কিন্তু দখলদার ইসরায়েলের কারণে সেগুলো প্রবেশ করানো যাচ্ছে না। ইসরায়েল গাজায় প্রবেশের আগে সবগুলো ট্রাক পরীক্ষা করতে চায় বলেও জানান তিনি।


সূত্র: সিএনএন


বিডি প্রতিদিন/নাজিম





Source from Bangladesh Pratidin