গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব: ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষায় মধ্যস্থকারীরা |


গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আরব মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক জবাবের অপেক্ষায় আছেন। এদিকে হামাস যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। 


কাতার ও মিশরের উপস্থাপিত এই পরিকল্পনাকে গাজা দখলের নতুন ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আগেই শান্তি ফেরানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।


কাতার জানিয়েছে, প্রস্তাবটি প্রায় হুবহু মিলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার সঙ্গে। এতে গাজায় আটক প্রায় ৫০ জিম্মির মধ্যে অর্ধেককে ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম দিন থেকেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা শুরু হবে।


তবে ইসরায়েলি সরকার বারবার জানিয়েছে, তারা আর আংশিক কোনো সমঝোতা মেনে নেবে না শুধু পূর্ণাঙ্গ চুক্তিই গ্রহণযোগ্য, যেখানে সব জিম্মিকে একসাথে মুক্তি দিতে হবে। এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, ইসরায়েলের অবস্থান বদলায়নি সব জিম্মির মুক্তি ও যুদ্ধ শেষের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ ছাড়া কিছু নয়।


এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা সিটির পূর্ণ দখল নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যেই শহরটিতে তীব্র হামলা শুরু করেছে। ফলে হাজারো গাজাবাসী নতুন করে পালিয়ে যাচ্ছে। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাস ভয়াবহ চাপে রয়েছে।


হামাসের পক্ষ থেকে তাহের আল-নুনু বলেছেন, তারা কোনো সংশোধন ছাড়াই কাতার-মিশরের প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। তার ভাষায়, এটি একটি আংশিক চুক্তি হলেও লক্ষ্য হলো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি।


মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবের সঙ্গে নতুন পরিকল্পনার ৯৮ শতাংশ মিল রয়েছে বলে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে না বললেও আংশিক সমঝোতার সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করেননি।


এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সামাজিক মাধ্যম পোস্টে বলেছেন, হামাসকে ধ্বংস করা ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি সম্ভব নয়।


তবে ইসরায়েলজুড়ে জনমত ভিন্ন। রবিবার রাতে তেলআবিবে কয়েক লক্ষ মানুষ সমবেত হয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যুদ্ধ নয় বরং সমঝোতা করে দ্রুত সব জিম্মিকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে।



সূত্র: বিবিসি


বিডি প্রতিদিন/নাজমুল





Source from Bangladesh Pratidin