বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে এবং তাদের সহায়তায় বিভিন্ন মিশন পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “সব অপকর্ম ইচ্ছাকৃতভাবে করছে সরকার, এটি কোনো দেশপ্রেমিক সরকার নয়।”
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন পিন্টুর স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাসির উদ্দিনের মতো হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগেই বিএনপি আজকের অবস্থানে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, “প্রশাসনে বিএনপি সমর্থকদের বিতাড়িত করে আওয়ামী ও জামায়াতপন্থিদের বসানো হয়েছে। এমনকি উপদেষ্টা হিসেবে এমন অনেকেই কাজ করছেন যারা বাংলাদেশের নাগরিক নন। এতে দেশের ওপর একপ্রকার ঔপনিবেশিক শাসন চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “সেন্টমার্টিন বা সাজেক নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আবার আমরা শুনছি মানবিক করিডর দেওয়া হবে। কার স্বার্থে এই করিডর? জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকারের এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার নেই।”
এই বিষয়ে জামায়াত ও এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) নীরবতা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “বিএনপি ছাড়া করিডর নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করছে না। জামায়াত বা চরমোনাই কারও কোনো অবস্থান নেই।”
তিনি দাবি করেন, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে একটি নাটক চলছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশেষ ট্রিটমেন্ট নিয়ে দেশ ছাড়লেও সরকার বলছে তারা জানে না। এসব ঘটনা আড়াল করতেই শাহবাগে নাটক সাজানো হয়েছে।”
ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় এনসিপির কর্মসূচির প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, এতে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক সাইদ হাসান মিন্টু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক