‘নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা প্রতিহত করবে’ |


বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, সংস্কার আর বিচারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। নির্বাচনের পর যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা সংস্কার করবে এবং স্বৈরাচারের বিচার করবে। নির্বাচন বানচালের যে কোনো প্রচেষ্টা শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা প্রতিহত করবে।


বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, জামায়াত সংস্কার আর স্বৈরাচারের বিচারের নামে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। কারণ তারা হিসাব করে দেখেছে নির্বাচন হলে ধানের শীষের ব্যালটে ভোটের অভাব হবে না।


জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ছাড়েন। বেহেশতের টিকেট বিক্রি বন্ধ করেন। 


তিনি বলেন, জনগণ যদি বিএনপিকে ক্ষমতায় নেয়, আপনারা ঠেকাবার কে? জনগণকে পাশ কাটিয়ে ইনু-মেননরা যেভাবে শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগে ঢুকে গিয়েছিল, মনে চাইলে আপনারাও ঢুকে যান। 


হাবিব উন-নবী খান সোহেল বলেন, জিয়াউর রহমান সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। মানুষকে ডেকে ডেকে রাজনীতিতে এনেছেন। শেখ হাসিনাকেও বিদেশ থেকে এনে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সেই সুযোগের অপব্যবহারে করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হয়ে জাতির ওপর চেপে বসেছিলেন। আর ক্ষমতায় থেকে সবার রাজনীতি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কাউকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়নি।


ভাগলপুর খেলার মাঠে আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল। আরো বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, রহুল হোসাইন, রুহুল আমিন আকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া প্রমুখ।


সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেখ মজিবুর রহমান ইকবালকে সভাপতি, মনিরুজ্জামান মনিরকে সাধারণ সম্পাদক, মুস্তাফিজুর রহমান মামুন ও মোহাম্মদ আলীকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।


বিডি প্রতিদিন/নাজিম





Source from Bangladesh Pratidin