ফারহান ফাইয়াজের মতো শহীদদের স্মরণে নতুন করে দেশ গড়ব |


সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ ফারহান ফাইয়াজের মতো যেসব শিশু-কিশোর জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের সবাইকে স্মরণ করি। তারা আমাদের অন্তরে ও মনের গভীরে চিরস্থায়ী স্থান করে নিয়েছে। তাদের স্মরণ করে, আমাদের দেশটাকে নতুন করে গড়তে হবে।


শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় সংসদ সংলগ্ন শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ ফারহান ফাইয়াজের ১৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এসবের আয়োজন করা হয়। 


উপদেষ্টা বলেন, বাবা-মায়ের মনে সন্তান হারানো যে কষ্ট ও বেদনার, তাতে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা নেই। আজকের সুন্দর পরিবেশে বাচ্চাদের খেলাধুলার মাধ্যমে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে স্মরণ করা হচ্ছে। এটিই ফারহানকে অন্তরে ধারণ করা, অন্তরে স্মরণে রাখা।


তিনি বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুরা ফারহানকে স্মরণে যে ফুটবল খেলার নৈপুণ্য দেখিয়েছে, সেজন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আগামীতে এ দেশের ফারহানের মতো সকল বাচ্চাদেরকে আরো বড় আয়োজন করে স্মরণ করব। 


শারমীন এস মুরশিদ বলেন, তোমরা যারা অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা শিখছো, তোমরা এমন খেলোয়াড় হয়ে উঠবে, এই পৃথিবীর বুকে যে প্রতিযোগিতা হয় সেখানে গিয়ে যেন পৌঁছাতে পারো। অলিম্পিকের মত জায়গায় যেন পৌঁছাতে পারো সেটির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। 


অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথের সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন শহীদ ফারহান ফাইয়াজের পিতা মো. শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মাতা ফারহানা দিবা। 


পরবর্তী সময়ে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগীদের চ্যাম্পিয়ন লাল দলকে ট্রফি এবং প্রতিযোগী ফুটবল প্লেয়ারদেরকে মেডেল পরিয়ে দেন। 


শেষে উপদেষ্টা শহীদ ফারহান ফাইয়াজের ১৮তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন এবং জন্মদিনের কেক কাটেন।


অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।


বিডি প্রতিদিন/কেএ





Source from Bangladesh Pratidin