ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত |


 মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়িত নয়। তবে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এখন এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়, তবে ভবিষ্যতে জড়িত হতে পারে।


সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ইচ্ছুক এবং এ বিষয়ে তাদের দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (পুতিন) প্রস্তুত। তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন। আমরা এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি।’


এ বিষয়ে রাশিয়ার বিনিয়োগ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা রাখতে পারে।’


বিশ্লেষণ: ট্রাম্প কি বোঝেন তিনি কী বলছেন?


ইসরায়েলের বার ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক মেনাচেম ক্লেইন মনে করেন, ইসরায়েল ক্রমাগত ইরানে হামলা বাড়াবে। যার লক্ষ্য কেবল পরমাণু কর্মসূচি নয়, বরং ইরানি সরকার পতনেরও চেষ্টা। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ইসরায়েলের হামলার পেছনে পারমাণবিক কর্মসূচি থামানো ছাড়া আর কোনো যুক্তিসংগত কারণ দেখতে পাচ্ছি না।’


তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি চায়, তবে ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বাধ্য করতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা করছে না — এ থেকেই বোঝা যায়, ট্রাম্প প্রশাসন আসলে কী ভূমিকা নিচ্ছে।


অধ্যাপক ক্লেইন আরও প্রশ্ন তোলেন সন্দেহ করছি ট্রাম্প নিজেই জানেন না তিনি কী বলছেন, বা তার কথার পরিপূর্ণ তাৎপর্য তিনি উপলব্ধি করেন কি না।


ইসরায়েলি জনগণের বড় অংশ ইরানে সাম্প্রতিক হামলাগুলোকে সমর্থন করলেও, এটি নির্ভর করছে বেসামরিক প্রাণহানির মাত্রার ওপর। যদি সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে, তবে এই ঐকমত্য বদলে যেতে পারে, বলেন ক্লেইন


বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল





Source from Bangladesh Pratidin