ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে আম |


গ্রীষ্মের অন্যতম আকর্ষণীয় ফল আম, কিন্তু ডায়াবেটিস কিংবা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা অনেকেই এই রসালো ফলটি খেতে সাহস পান না। অনেকেরই ধারণা, আমে থাকা চিনি ও ক্যালোরির কারণে এটি ওজন বাড়ায় এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তবে আধুনিক পুষ্টিবিদদের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়।


পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক বলেন, “ডায়াবেটিস রোগীরাও আম খেতে পারেন। আমরা স্ন্যাকস হিসেবে একটা আম খেতে বলি। তবে অবশ্যই পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। একটা আম ঠিক আছে, কিন্তু তার বেশি নয়।”


একটি মাঝারি আকারের আমে (প্রায় ২৫০ গ্রাম) ক্যালোরি থাকে প্রায় ১৫০, এবং প্রতি ১০০ গ্রামে থাকে ৬০-৬৫ ক্যালোরি। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্যও আম একেবারে নিষিদ্ধ নয়। মূল বিষয় হলো, দিনের মোট ক্যালোরি গ্রহণ ও ব্যয়ের ভারসাম্য।


পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমানো বা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘পরিমাণ’ ও ‘পদ্ধতি’। কী খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন এবং কীভাবে খাচ্ছেন—এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে আমও একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য হতে পারে।


আম শুধু স্বাদের জন্য নয়, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, এ, ই, কে, ফোলেট (বি৯), পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস। অনন্যা ভৌমিক জানান, “আমের শর্করা প্রাকৃতিক এবং তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স তুলনামূলক বেশি হলেও, তা খেলেই রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাবে এ ধারণা সঠিক নয়।”


সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিডি প্রতিদিন/মুসা





Source from Bangladesh Pratidin