‘ক্যাপ্টেন কুল’ ট্রেডমার্কের জন্য ধোনির আবেদন |


ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটা মানেই মহেন্দ্র সিং ধোনি। মাঠে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়া, চাপের মুহূর্তে ধৈর্য ধরে খেলা চালিয়ে যাওয়া এসবই যেন ধোনির পরিচিতি। এবার সেই ‘ক্যাপ্টেন কুল’ উপাধির একচ্ছত্র মালিক হতে আইনি পথে এগোলেন সাবেক ভারত অধিনায়ক। তিনি এই বিশেষণের ট্রেডমার্ক নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, যাতে অন্য কেউ এটি ব্যবহার করে ব্যবসায়িক লাভ না তুলতে পারে।


ভারতের ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি পোর্টালের তথ্যানুসারে, ধোনি সম্প্রতি ‘ক্যাপ্টেন কুল’ শব্দটির মালিকানা চেয়ে আবেদন করেছেন। ধোনি এই নামটি ট্রেনিং, কোচিং এবং স্পোর্টস একাডেমি সম্পর্কিত পরিষেবাতে ব্যবহার করতে চান। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে এই নামে যদি কোনো স্পোর্টস একাডেমি বা ট্রেনিং প্রোগ্রাম শুরু করেন, তা যেন শুধুমাত্র তার মাধ্যমেই হয়।


ধোনির আইনজীবী মানসী আগরওয়াল বলেন, ‘এম.এস. ধোনির মতো এক কিংবদন্তির জন্য তার সঙ্গে জুড়ে থাকা বিশেষণগুলোর ট্রেডমার্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাপ্টেন কুল নামটি ধোনির সঙ্গে আবেগ ও জনপ্রিয়তার গভীর বন্ধনে জড়িত।’


তবে ট্রেডমার্কের যাত্রা সহজ ছিল না। প্রথমবার ধোনির টিম যখন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল, তখন ট্রেডমার্ক আইনের ধারা ১১(১) অনুযায়ী তা বাতিল করা হয়। কারণ, ইতিমধ্যেই ওই নামের সঙ্গে মিল আছে এমন নাম রেজিস্টার্ড ছিল। এতে জনমানসে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়।


পরবর্তীতে ধোনির আইনজীবীরা ফের আবেদন করেন এবং যুক্তি দেন, ‘ক্যাপ্টেন কুল’ নামটি শুধুমাত্র ধোনির সঙ্গে সাংস্কৃতিকভাবে ও আবেগতাড়িতভাবে জড়িত। ভক্তদের দেওয়া নাম এটি, যা অন্য কারও ব্যবহারে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে।


ধোনি যখন ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করতেন, তখন তার ঠান্ডা মেজাজ, ম্যাচ-পড়ার ক্ষমতা ও ধৈর্য ভক্তদের মন জয় করে নেয়। তখন থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। সতীর্থরাও তাকে এই নামে ডাকতেন। কুলদীপ যাদব একবার মজা করে বলেছিলেন, ‘ধোনি ক্যাপ্টেন কুল হলেও, মেজাজ হারাতে তাকেও দেখেছি।’


বিডি প্রতিদিন/মুসা





Source from Bangladesh Pratidin