অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই ইতিহাস গড়লেন মুল্ডার |


জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে বুলাওয়েতে ৩২৮ রানের বিশাল জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা, যেখানে অধিনায়কত্বের দায়িত্বে ছিলেন কেশব মহারাজ। দ্বিতীয় টেস্টে মহারাজের পরিবর্তে নেতৃত্ব পান অলরাউন্ডার উইয়ান মুল্ডার।


আর সেই সুযোগটাই যেন মুল্ডার কাজে লাগালেন ইতিহাস গড়ে। ব্যাট হাতে খেলেছেন অসাধারণ এক ইনিংস, তুলে নিয়েছেন দ্বিশতক। অধিনায়ক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ম্যাচেই সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের মালিক এখন তিনি। ভেঙেছেন ১১২ বছরের পুরোনো রেকর্ড। এই রেকর্ড আগে ছিল হার্বি টেলরের দখলে। যিনি ১৯১৩ সালে অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেক টেস্টে করেছিলেন ১০৯ রান। সেই ইনিংস ছাপিয়ে মুল্ডার  বুলাওয়ের মাঠে ২১৪ বলে করেন দুর্দান্ত একটি দ্বিশতক। এর আগে শতক পূর্ণ করেন ১১৬ বলে।


প্রোটিয়া ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টের প্রথম দিনেই দ্বিশতক হাঁকানো তৃতীয় ব্যাটার তিনি—তালিকায় তাঁর আগে যদিও ছিলেন গ্রায়েম স্মিথ ও গ্যারি কার্স্টেন। চলতি সিরিজে মুল্ডারের এটি দ্বিতীয় শতক। তিনে নামা মুল্ডার অপরাজিত আছেন ২৬৪ রানে! প্রোটিয়ারা প্রথম দিন শেষ করেছে ৮৮ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫ রান তুলে। ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এখন পর্যন্ত মেরেছেন ৩৪ চার ও ৩ ছক্কা।


তিনি এখন টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিক। এই রেকর্ডটি এতদিন ছিল নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাওলিংয়ের দখলে। ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসে ২৩৯ রান করেছিলেন ডাওলিং। মাত্র ২১৪ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুল্ডার, যা দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম। এর চেয়ে দ্রুত ডাবল সেঞ্চুরি এসেছে শুধু হার্শেল গিবসের ব্যাট থেকে—২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১১ বলে।


মুল্ডারের এই ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ব্যাটারের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরও বটে। এতদিন সেই রেকর্ড ছিল গ্যারি কারস্টেনের—২০০১ সালে হারারেতে করা ২২০ রানের ইনিংস।


প্রথম ম্যাচে ছিলেন কেবল দলের অংশ, অধিনায়কত্বে ছিলেন না। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে দায়িত্ব পেয়েই যেভাবে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুল্ডার, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কত্বের ইতিহাসে নিজের জায়গা পাকা করে নিচ্ছেন দ্রুতই। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৪৬৫ রান।


বিডি প্রতিদিন/নাজিম





Source from Bangladesh Pratidin