হারের পর মিরপুরের উইকেটকে ধুয়ে দিলেন পাকিস্তানের কোচ |


ঝড়ো শুরুর পর হঠাৎ ধস। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হারের পর নিজেদের দায় মেনে নিয়েই মিরপুরের উইকেটকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য মানসম্মত নয় বলে জানালেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন।


মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার (২০ জুলাই) মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। মুস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ার, কাটারসহ বৈচিত্রপূর্ণ বোলিংয়ের কোনো জবাব দিতে পারেননি ফখর জামান, খুশদিল শাহরা। পরে পারভেজ হোসেনের ঝড়ো ফিফটিতে ৭ উইকেটের অনায়াস জয়ই পায় বাংলাদেশ। ফখর জামানের ৩৪ বলে ৪৪ রান ছাড়া পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে পারেননি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা মেনে নেন হেসন। একইসঙ্গে উইকেট নিয়েও অসন্তোষ জানিয়ে দেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ।


তিনি বলেন, আমার মনে হয় না, এমন উইকেট কারও জন্য ভালো। আমার মতে, কেউ যখন এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই ধরনের উইকেট তখন গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাট হাতে আমাদের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কোনো অজুহাত নয় এটি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এই উইকেট মানসম্মত নয়।


একই উইকেটে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে আবার সাবলীল ব্যাটিংই করেন পারভেজ। ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সংবাদ সম্মেলনে বাঁহাতি ওপেনার বলেন, উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। ইমন বলেন, আমরা ১১০ রান ১৬ ওভারের মধ্যে করে ফেলেছি। যদি পুরো ২০ ওভার খেলতাম তাহলে ১৬০ রান করতে পারতাম। তাই আমার মনে হয়নি, উইকেট ওরকম কিছু ছিল। হতে পারে ওরা মানিয়ে নিতে পারেনি। আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


হেসনের ভাবনা অবশ্য ভিন্ন। বিশ্বব্যাপী নানান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থেকে তার উপলব্ধি, এই ধরনের উইকেটে খেলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দীর্ঘ মেয়াদে তেমন উপকার করবে না।


তিনি বলেন, আমার মনে হয় না, বাংলাদেশের বাইরে গেলে এই পিচ তাদের সাহায্য করবে। তবে এটিও সত্যি এই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করা খুব চ্যালেঞ্জিং। আপনি জানেন না, ১৩০ না ১৫০, ঠিক কত রান যথেষ্ট হবে। এরপর আপনি যখন বাইরে গিয়ে ভালো উইকেটে খেলবেন, দুর্বলতা প্রকাশ পেয়ে যাবে।



বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ





Source from Bangladesh Pratidin