ইসরাইলে অস্ত্র রফতানির অনুমোদন আর দেবে না জার্মানির সরকার। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ।
শুক্রবার এই সিদ্ধানের কথা জানিয়েছেন তিনি।
জার্মানির এই সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ আন্তর্জাতিক বিশ্বে জার্মানি ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের মধ্যে অন্যতম।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, গত দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে গাজা থেকে বিদায় করতে না পারা এবং নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক সম্পূর্ণ গাজা দখলের অভিপ্রায়ের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি।
চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জের বক্তব্যেও তার আভাস পাওয়া গেছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমানে যে সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল এগোচ্ছে, তাতে কীভাবে হামাসকে গাজা থেকে বিদায় করা যাবে এবং সেখানে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের কীভাবে মুক্ত করা সম্ভব হবে— তা বুঝতে পারা দিন দিন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে। তাই এই পরিস্থিতি ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা দখলের পরিকল্পনায় সম্মতি জানানোর পরেই সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, এর মাধ্যমে এক বিপর্যয় আরো অনেক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইয়াইর লাপিদ এই এক্সপোস্ট দেওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলে অস্ত্র রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/কেএ