দেশের বাজারে পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে সংগঠনটির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান আমদানিকারকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে পিঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ৩০ টনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, আমদানির অনুমতি না দিলে বুধবার থেকে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
বক্তারা বলেন, গত ১৪ আগস্ট পিঁয়াজের আইপি দেয় সরকার। ফলে ১৭ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এতে করে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে আসছিল। কিন্তু ১৯ আগস্ট থেকে আবারও হঠাৎ করে আইপি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমদানিকারকরা আবেদন করলেও কোনো আইপি ইস্যু করা হচ্ছে না। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, পিঁয়াজের আইপি ইস্যুর পর অনেক আমদানিকারক ভারত থেকে পিঁয়াজ কিনেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে আইপি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সীমান্তের ওপারে কয়েকজন আমদানিকারকের শতাধিক পিঁয়াজ বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে। যেসব আমদানিকারক ইতিমধ্যে আইপির জন্য আবেদন করেছেন ও ভারতে পিঁয়াজ কিনে ট্রাকে লোড করে রেখেছেন তাদের জন্য পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। তারা জানান, আমদানি উন্মুক্ত থাকলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান, হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, আমদানিকারক রিপন, হাকিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলুসহ অনেকেই।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ